বুলিয়ান অ্যালজেবরা এবং ডিজিটাল ডিভাইস আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং ইলেকট্রনিক্সের দুটি মৌলিক দিক। বুলিয়ান অ্যালজেবরা ডিজিটাল লজিক এবং প্রোগ্রামিংয়ের মূল ভিত্তি, যেখানে ডিজিটাল ডিভাইস বিভিন্ন লজিক্যাল অপারেশন সম্পাদন করে।
বুলিয়ান অ্যালজেবরা হলো লজিক্যাল অপারেশন এবং গাণিতিক যুক্তি বিশ্লেষণের জন্য ব্যবহৃত একটি গাণিতিক কাঠামো। এটি জর্জ বুলের (George Boole) দ্বারা ১৮৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি মূলত সত্য (True) এবং মিথ্যা (False) মানের মধ্যে সম্পর্ক নির্দেশ করে এবং লজিক্যাল গেট ডিজাইন এবং ডিজিটাল সার্কিট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
AND (∧): দুটি শর্ত একই সাথে সত্য হলে ফলাফল সত্য।
OR (∨): দুটি শর্তের মধ্যে অন্তত একটি সত্য হলে ফলাফল সত্য।
NOT (¬): একটি শর্তের বিপরীত মান দেয়।
XOR (Exclusive OR): দুটি শর্তের মধ্যে শুধুমাত্র একটি সত্য হলে ফলাফল সত্য।
ডিজিটাল ডিভাইস হলো সেগুলি যেগুলি ডিজিটাল সংকেত ব্যবহার করে তথ্য প্রক্রিয়া ও পরিচালনা করে। এটি সাধারণত বাইনারি সংখ্যা (০ এবং ১) ব্যবহার করে তথ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। ডিজিটাল ডিভাইসের মধ্যে কিছু জনপ্রিয় উদাহরণ রয়েছে:
কম্পিউটার: তথ্য প্রক্রিয়া এবং গাণিতিক কাজ সম্পাদনে ডিজিটাল ডিভাইস। এটি সিপিইউ, মেমোরি, ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস নিয়ে গঠিত।
মোবাইল ফোন: ডিজিটাল ডিভাইস যা যোগাযোগ, তথ্য প্রক্রিয়া, এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে সক্ষম।
ডিজিটাল ক্যামেরা: একটি ডিজিটাল ডিভাইস যা ইমেজ ক্যাপচার করে এবং ডিজিটাল ফরম্যাটে সংরক্ষণ করে।
গেম কনসোল: ডিজিটাল ডিভাইস যা ভিডিও গেম খেলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং গ্রাফিক্স প্রক্রিয়াকরণ করে।
মাইক্রোকন্ট্রোলার: একটি ছোট কম্পিউটার চিপ যা বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়, যেমন অ্যাপ্লায়েন্স, রোবট, এবং ইলেকট্রনিক গ্যাজেট।
বুলিয়ান অ্যালজেবরা ডিজিটাল ডিভাইস ডিজাইনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লজিক গেটগুলো, যেমন AND, OR, NOT, ইত্যাদি বুলিয়ান অ্যালজেব্রার অপারেশনগুলির ভিত্তিতে কাজ করে এবং বিভিন্ন ডিজিটাল সার্কিট এবং ডিভাইসে জটিল লজিক্যাল কাজ সম্পাদন করে।
বুলিয়ান অ্যালজেবরা ডিজিটাল প্রযুক্তির ভিত্তি এবং এটি লজিক্যাল চিন্তা এবং গাণিতিক প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিজিটাল ডিভাইস তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি বাস্তব প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে, এবং ডিজিটাল সার্কিটে বুলিয়ান অ্যালজেবরা ব্যবহার করে তারা লজিক্যাল অপারেশনগুলি সম্পাদন করে। উভয়ই প্রযুক্তির অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
বুলিয়ান অ্যালজেবরা এবং ডিজিটাল ডিভাইস হলো কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইলেকট্রনিক্সের দুইটি মৌলিক ধারণা। বুলিয়ান অ্যালজেবরা তথ্যের লজিক্যাল প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত হয়, এবং ডিজিটাল ডিভাইসগুলো ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ডিজাইন করা হয়।
বুলিয়ান অ্যালজেবরা হলো একটি অ্যালজেব্রিক সিস্টেম যা লজিক্যাল অপারেশন এবং যুক্তির কাজ করে। এটি ইংরেজী গণিতবিদ জর্জ বুল (George Boole) দ্বারা ১৯শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে উন্নত করা হয়েছিল। বুলিয়ান অ্যালজেব্রা ব্যবহার করে দুটি মান — সত্য (True) এবং মিথ্যা (False) — এর উপর ভিত্তি করে গাণিতিক সম্পর্ক তৈরি করা হয়।
AND (∧): দুটি শর্ত একই সাথে সত্য হলে ফলাফল সত্য।
OR (∨): দুটি শর্তের মধ্যে অন্তত একটি সত্য হলে ফলাফল সত্য।
NOT (¬): একটি শর্তের বিপরীত মান দেয়।
XOR (Exclusive OR): দুটি শর্তের মধ্যে শুধুমাত্র একটি সত্য হলে ফলাফল সত্য।
ডিজিটাল ডিভাইস হলো সেই সমস্ত ডিভাইস যা ডিজিটাল সংকেত ব্যবহার করে তথ্য প্রক্রিয়া এবং পরিচালনা করে। এগুলো সাধারণত বাইনারি সংখ্যা (০ এবং ১) ব্যবহার করে তথ্যের প্রতিনিধিত্ব করে।
কম্পিউটার: একটি ডিজিটাল ডিভাইস যা তথ্য প্রক্রিয়া এবং গাণিতিক কাজ সম্পাদন করে। কম্পিউটার সাধারণত একটি সিপিইউ, মেমোরি, ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস নিয়ে গঠিত।
মোবাইল ফোন: ডিজিটাল ডিভাইস যা যোগাযোগ, তথ্য প্রক্রিয়া, এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে সক্ষম।
ডিজিটাল ক্যামেরা: একটি ডিজিটাল ডিভাইস যা ইমেজ ক্যাপচার করে এবং ডিজিটাল ফরম্যাটে সংরক্ষণ করে।
গেম কনসোল: ডিজিটাল ডিভাইস যা ভিডিও গেম খেলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং গ্রাফিক্স প্রক্রিয়াকরণ করে।
মাইক্রোকন্ট্রোলার: একটি ছোট কম্পিউটার চিপ যা বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়, যেমন অ্যাপ্লায়েন্স, রোবট, এবং ইলেকট্রনিক গ্যাজেট।
বুলিয়ান অ্যালজেবরা ডিজিটাল ডিভাইস ডিজাইনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লজিক গেটগুলো, যেমন AND, OR, NOT, ইত্যাদি বুলিয়ান অ্যালজেব্রার অপারেশনগুলির ভিত্তিতে কাজ করে এবং বিভিন্ন ডিজিটাল সার্কিট এবং ডিভাইসে জটিল লজিক্যাল কাজ সম্পাদন করে।
বুলিয়ান অ্যালজেবরা এবং ডিজিটাল ডিভাইস উভয়ই আধুনিক কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইলেকট্রনিক্সের জন্য অপরিহার্য। বুলিয়ান অ্যালজেবরা লজিক্যাল চিন্তাভাবনা এবং ডিজাইনিংয়ে সাহায্য করে, যখন ডিজিটাল ডিভাইস তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি বাস্তব প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।
A
B
AB
I
সত্যক সারণি (Truth Table) হলো একটি গাণিতিক টেবিল যা লজিক্যাল অপারেশনগুলির ফলাফলকে উপস্থাপন করে। এটি বুলিয়ান লজিক এবং ডিজিটাল ডিজাইনিংয়ে ব্যবহৃত হয়। সত্যক সারণি বিভিন্ন লজিক্যাল গেট যেমন AND, OR, NOT ইত্যাদির কার্যকারিতা এবং তাদের আউটপুট নির্ধারণে সাহায্য করে।
AND গেটের আউটপুট তখনই 1 হয় যখন সমস্ত ইনপুট 1 হয়।
A | B | A AND B |
---|---|---|
0 | 0 | 0 |
0 | 1 | 0 |
1 | 0 | 0 |
1 | 1 | 1 |
OR গেটের আউটপুট 1 হয় যদি অন্তত একটি ইনপুট 1 হয়।
A | B | A OR B |
---|---|---|
0 | 0 | 0 |
0 | 1 | 1 |
1 | 0 | 1 |
1 | 1 | 1 |
NOT গেটের আউটপুট ইনপুটের বিপরীত হয়।
A | NOT A |
---|---|
0 | 1 |
1 | 0 |
যখন একাধিক ইনপুট হয়, তখন সত্যক সারণির আকার বাড়ে। উদাহরণস্বরূপ, দুইটি ইনপুট A এবং B এর জন্য চারটি আউটপুট সম্ভব।
A | B | C | A AND B | (A AND B) OR C |
---|---|---|---|---|
0 | 0 | 0 | 0 | 0 |
0 | 0 | 1 | 0 | 1 |
0 | 1 | 0 | 0 | 0 |
0 | 1 | 1 | 0 | 1 |
1 | 0 | 0 | 0 | 0 |
1 | 0 | 1 | 0 | 1 |
1 | 1 | 0 | 1 | 1 |
1 | 1 | 1 | 1 | 1 |
সত্যক সারণি ডিজিটাল লজিক এবং বুলিয়ান অ্যালজেব্রায় একটি অপরিহার্য টুল, যা সিস্টেমের আউটপুট এবং লজিক্যাল সম্পর্ক বোঝার জন্য ব্যবহৃত হয়।
লজিক গেইট (Logic Gate) হলো একটি মৌলিক বৈদ্যুতিন ডিভাইস যা একটি বা একাধিক ইনপুট সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে একটি আউটপুট সিগন্যাল তৈরি করে। লজিক গেইটগুলি ডিজিটাল সার্কিটের মূল উপাদান এবং তারা সংখ্যাগত তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি মূলত কম্পিউটার, ডিজিটাল কন্ট্রোল সিস্টেম, এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়।
লজিক গেট (Logic Gate): লজিক বা যৌক্তিক গেট হলাে এক ধরনের ডিজিটাল ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা বুলিয়ান এলজেবরা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের যৌক্তিক অপারেশন বা লজিক অপারেশন করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের লজিক গেটের মধ্যে মৌলিক গেট হলাে- AND গেট, OR গেট এবং NOT গেট। এসব গেট ব্যবহার করে অন্যান্য যৌক্তিক গেট তৈরি করা যায়।
মৌলিক গেট | যৌগিক গেট |
AND, OR এবং NOT | NAND গেট, NOR গেট, XOR গেট, এবং XNOR গেট |
গেট (Gate) | বৈশিষ্ট্য | ||||||||||||||||||
OR গেট | দুই বা ততােধিক ইনপুট এবং একটি মাত্র। আউটপুট থাকে। এখানে আউটপুট ইনপুট
অর গেটের সত্যক সারণি | ||||||||||||||||||
AND গেট | দুই বা ততােধিক ইনপুট এবং একটি মাত্র । আউটপুট থাকে। এখানে আউটপুট ইনপুটগুলাে। যৌক্তিক গুণফলের সমান। সবগুলাে ইনপুট ১ হলে আউটপুট ১ হয়।। যেকোন একটি ০ হলে আউটপুট ০ হয়।
অ্যান্ড গেটের সত্যক সারণি | ||||||||||||||||||
NOT গেট | একটি মাত্র ইনপুট এবং একটি মাত্র আউটপুট থাকে। এটি এমন একটি গেট যা আউটপুট, ইনপুটের বিপরীত মান।
নট গেটের সত্যক সারণি | ||||||||||||||||||
NOR গেট | OR গেট ও NOT গেট এর সমন্বিত গেটকে নর গেট বলে। | ||||||||||||||||||
NAND গেট | AND গেট ও NOT গেট এর সমন্বিত গেট হল ন্যান্ড গেট। | ||||||||||||||||||
XOR গেট | Exclusive ORএর সংক্ষিপ্ত রূপ হলাে XOR। XOR গেট মৌলিক গেট দিয়ে তৈরি করা হয়। | ||||||||||||||||||
XNOR গেট | XOR গেট ও NOT গেট এর সমন্বিত গেটের নাম XNOR। |
এডার (Adder) হলো একটি ডিজিটাল সার্কিট যা দুটি বা তার বেশি সংখ্যা যোগ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি কম্পিউটারের গাণিতিক কার্যক্রমের একটি মৌলিক অংশ এবং বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা পদ্ধতিতে যোগফল বের করার জন্য ডিজাইন করা হয়। এডার মূলত কম্পিউটারে ব্যবহৃত অ্যালজেব্রিক এবং লজিক্যাল অপারেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১. পূর্ণ যোগক (Full Adder):
পূর্ণ যোগকের লজিক্যাল প্রকাশ:
২. অংশ যোগক (Half Adder):
অংশ যোগকের লজিক্যাল প্রকাশ:
এডার ডিজিটাল সার্কিটের একটি মৌলিক উপাদান, যা সংখ্যা যোগ করতে ব্যবহৃত হয়। পূর্ণ যোগক এবং অংশ যোগক দুটি প্রধান প্রকারের এডার, এবং এগুলো বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসে গাণিতিক কাজ সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সে এডারের ব্যবহার গাণিতিক কাজের প্রক্রিয়াকরণে সঠিকতা এবং দক্ষতা নিশ্চিত করে।
এনকোডার (Encoder) এবং ডিকোডার (Decoder) হলো ডিজিটাল সার্কিট বা যন্ত্রাংশ যা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের সময় ব্যবহৃত হয়। এগুলি সাধারণত তথ্য সঙ্কেতের রূপান্তর করার জন্য ব্যবহৃত হয়, এবং বিভিন্ন প্রযুক্তিতে, যেমন যোগাযোগ ব্যবস্থা, ডেটা স্টোরেজ, এবং তথ্য সিস্টেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এনকোডার হলো একটি ডিভাইস যা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ইনপুট সিগন্যালকে একটি কম সংখ্যক আউটপুট সিগন্যালের মধ্যে রূপান্তর করে। এটি একটি ডিজিটাল তথ্যকে সংকেত বা কোডে রূপান্তরিত করে। এনকোডার সাধারণত তথ্য সঙ্কেত সংকোচন (Compression) এবং সংরক্ষণ (Storage) এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
2-থেকে-4 এনকোডার:
A0 | A1 | Y0 | Y1 | Y2 | Y3 |
---|---|---|---|---|---|
0 | 0 | 0 | 0 | 0 | 1 |
0 | 1 | 0 | 0 | 1 | 0 |
1 | 0 | 0 | 1 | 0 | 0 |
1 | 1 | 1 | 0 | 0 | 0 |
এখানে, ইনপুট কম্বিনেশন অনুযায়ী আউটপুট নির্দেশ করে কোন ইনপুট সক্রিয় ছিল।
ডিকোডার হলো একটি ডিভাইস যা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ইনপুট সিগন্যালকে একটি বড় সংখ্যক আউটপুট সিগন্যালের মধ্যে রূপান্তর করে। এটি সাধারণত সংকেত বা কোডকে মূল তথ্য বা সংকেতের মধ্যে রূপান্তর করে।
4-থেকে-2 ডিকোডার:
Y0 | Y1 | Y2 | Y3 | A0 | A1 |
---|---|---|---|---|---|
0 | 0 | 0 | 1 | 0 | 0 |
0 | 0 | 1 | 0 | 0 | 1 |
0 | 1 | 0 | 0 | 1 | 0 |
1 | 0 | 0 | 0 | 1 | 1 |
এখানে, ইনপুট অনুযায়ী আউটপুট সংকেত প্রকাশ করে কোন আউটপুট সক্রিয় হয়েছে।
এনকোডার এবং ডিকোডার ডিজিটাল তথ্য প্রক্রিয়াকরণের মূল উপাদান। এনকোডার তথ্যকে সংকেতের মধ্যে রূপান্তর করে, যখন ডিকোডার সেই সংকেতকে মূল তথ্যের মধ্যে রূপান্তর করে। ডিজিটাল যোগাযোগ, তথ্য সংরক্ষণ, এবং বিভিন্ন প্রযুক্তিগত প্রয়োগে এদের গুরুত্ব অপরিসীম।
ফ্লিপ-ফ্লপ (Flip-Flop) হলো একটি মৌলিক ডিজিটাল স্যুইচিং যন্ত্র যা ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সে তথ্য সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি বিট (0 অথবা 1) তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে এবং এটি বিভিন্ন ধরনের তথ্য এবং সংকেতের প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়। ফ্লিপ-ফ্লপ গুলো সাধারণত সিকোয়েনশিয়াল লজিক সার্কিটের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং কম্পিউটার, টেলিযোগাযোগ, এবং অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১. SR Flip-Flop (Set-Reset Flip-Flop):
সত্যক সারণি:
S | R | Q (Next State) |
---|---|---|
0 | 0 | Q (Previous) |
0 | 1 | 0 |
1 | 0 | 1 |
1 | 1 | Invalid |
২. D Flip-Flop (Data Flip-Flop):
সত্যক সারণি:
D | Clock | Q (Next State) |
---|---|---|
0 | ↑ | 0 |
1 | ↑ | 1 |
৩. JK Flip-Flop:
সত্যক সারণি:
J | K | Q (Next State) |
---|---|---|
0 | 0 | Q (Previous) |
0 | 1 | 0 |
1 | 0 | 1 |
1 | 1 | Q' (Toggle) |
৪. T Flip-Flop (Toggle Flip-Flop):
সত্যক সারণি:
T | Clock | Q (Next State) |
---|---|---|
0 | ↑ | Q (Previous) |
1 | ↑ | Q' (Toggle) |
ফ্লিপ-ফ্লপ ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সিস্টেমের কাজকে সহজ করে এবং বিভিন্ন ধরণের লজিক্যাল অপারেশন সম্পাদনে সাহায্য করে।
রেজিস্টার (Register) হলো একটি ছোট, দ্রুত স্টোরেজ স্থান যা কম্পিউটারের সিপিইউ (CPU) এর মধ্যে ব্যবহৃত হয়। রেজিস্টারগুলি সাধারণত প্রাথমিক ডেটা, নির্দেশনা, এবং অন্যান্য অস্থায়ী তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়, যা প্রসেসরের কাজের সময় প্রয়োজন হয়। এগুলি উচ্চ গতির মেমোরি যা ডেটা দ্রুত প্রক্রিয়া করতে সাহায্য করে।
১. দ্রুততা: রেজিস্টারগুলি RAM বা হার্ড ড্রাইভের তুলনায় অনেক দ্রুত। যেহেতু এগুলি CPU এর মধ্যে অবস্থিত, তাই সিপিইউ এর কাজ সম্পন্ন করার জন্য তাদের অ্যাক্সেস সময় খুব কম।
২. ছোট আকার: রেজিস্টারগুলি সাধারণত ছোট আকারের, এবং এগুলির সংখ্যা CPU-এর স্থাপত্যের উপর নির্ভর করে। সাধারণত কয়েকটি (যেমন 8, 16, 32, 64) রেজিস্টার থাকে।
৩. নির্দিষ্ট কাজ: প্রতিটি রেজিস্টার সাধারণত একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন ডেটা সংরক্ষণ, নির্দেশনা রাখার জন্য, বা হিসাবের জন্য।
১. জেনারেল পার্পাস রেজিস্টার (General-Purpose Register):
২. স্পেশাল পার্পাস রেজিস্টার (Special-Purpose Register):
রেজিস্টারগুলি কম্পিউটারের প্রসেসরের মৌলিক এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা উচ্চ গতির ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলি বিভিন্ন প্রকারের এবং নির্দিষ্ট কাজের জন্য ডিজাইন করা হয়, যা CPU-এর কাজের সময় কার্যকরীভাবে ডেটা সংরক্ষণ এবং পরিচালনার সুযোগ দেয়।
কাউন্টার (Counter) হলো একটি ডিজিটাল সার্কিট বা যন্ত্র যা নির্দিষ্ট সময়ে ঘটে যাওয়া ইভেন্ট, সংকেত, বা পুলসের সংখ্যা গুনতে ব্যবহৃত হয়। কাউন্টার ডিজিটাল কম্পিউটার এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, এবং এটি সাধারণত বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম, যেমন টাইমিং, গতি মাপা, এবং সিকোয়েন্সিং-এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
কাউন্টার সাধারণত দুটি প্রধান ক্যাটেগরিতে বিভক্ত করা যায়:
সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
কাউন্টার বিভিন্ন ডিজিটাল সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়, যেমন:
একটি 3-বিট বাইনারি কাউন্টার 0 থেকে 7 (000 থেকে 111) পর্যন্ত গণনা করবে। কাউন্টার প্রতি ক্লক সিগন্যালের প্রতি 1 সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
ক্লক সিগন্যাল | কাউন্ট (বাইনারি) | কাউন্ট (ডেসিমাল) |
---|---|---|
1 | 000 | 0 |
2 | 001 | 1 |
3 | 010 | 2 |
4 | 011 | 3 |
5 | 100 | 4 |
6 | 101 | 5 |
7 | 110 | 6 |
8 | 111 | 7 |
একটি কাউন্টার ডিজিটাল টাইমার হিসেবে ব্যবহার করা যায়, যেখানে সময় গণনা করতে 60 সেকেন্ডের পরে 1 মিনিটের কাউন্ট ঘটে।
কাউন্টার ডিজিটাল ইলেকট্রনিক সার্কিটের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা বিভিন্ন প্রযুক্তিগত এবং গাণিতিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর বিভিন্ন প্রকার ও ফিচার অনুযায়ী, এটি ডিজাইন এবং ব্যবহারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়।